সিঙ্গাড়া
-সাত্বকী বসু
সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে সামনের দোকানটায় গরম গরম সিঙ্গাড়া যেন বার বার কাছে ডাকতে চাইছে অতনুকে।মেঘার হাতটা ধরে ওই দোকানের দিকে যেতেই মেঘা বলে উঠলো,
-ওই তেলেভাজা নো ওয়ে বাবু।আমার এতদিনের ডায়েট ওই রাস্তার আজে বাজে খেলে পুরো মাঠে মারা যাবে।
কিন্তু অতনু নাছোড়।অবশেষে দুজনে স্থির করলো দুটো কিনবে আধখানা মেঘা খাবে,আর বাকিটা অতনুকে খেতে হবে।
দোকানের বেঞ্চটায় একটি বছর ষোলোর মেয়ে,পড়নে আধময়লা পোশাক,বসে সিঙ্গাড়া খাচ্ছে।বেশ তৃপ্তি করে।
ওর বাপটা মিস্ত্রীর কাজ করে।অনেকদিন ধরে বায়না করছিল তাই আজ বাপ দশ টাকা দিয়েছে সিঙ্গাড়া খেতে।
ও জানে মায়ের অসুখ,বাপটাকে মাসের মাইনের প্রায় পুরোটাই ওষুধ কিনতে হয়।
তবু ও যে সিঙ্গাড়া খেতে বড্ড ভালোবাসে।
খাওয়া শেষে জলের জগের দিকে হাত বাড়াতে গিয়েও থেমে গেল মেয়েটা,
আবার কবে সিঙ্গাড়া কপালে জুটবে কে জানে?তাই থাক যতটুকু সময় স্বাধটা জিভে লেগে থাকে,থাক!